কচি ঘাসের ডগায় ডগায়, পেয়েছি খুঁজে বিলাসিতারে,
চাইনে তাই যাইতে খুঁজে, ভোগবিলাসের সন্ধানেতে।
সবুজ ঘাসে লুটায় যখন, আমার মলীন গাত্র,
তাজ্জব প্রমোদ জেগে উঠে মনে, নেচে উঠে আপনা-চিত্ত।
উচ্ছ্বাস-গরিবি যে গুছেছে আমার, হৃদয়াকর্ষী এই ঘাসে!
পা দিয়ে যখন মাড়িয়ে চলি, সবুজে-কন্যা ঘাসে,
সে আমারে ডেকে কয়, “ওরে! আইনা আরো কাছে!”
ইতর ঘাসের এমন কৃপায়, ভাবি মন রেখে অন্তরীক্ষে,
এ যেন কোনো কুমারীর ডাক, রাখিবে মোরে তার বক্ষে।
কুটুম সাঁঝে, সন্তোষে তাই লুটায়ে পড়ি ঘাসে!
মোলায়েম ঘাসের ছোয়ায় যেন, কুমারীর বুকে গেছি মিশে,
হাত বোলাতেই ধক! করে বুক, কুমারী কাদঁছে কোনো আক্রোশে।
রবির তাপও পারেনি গুছাতে, কুমারীর অশ্রুজল,
সারা অঙ্গে তাহা লেগে আছে আজো, করছে ছলছল।
সুধানোর পরে, কুমারী দুঃখ শোনায়, মোর কানে ফিসফিসে!
“দুঃখ আমার, সবুজে ঘেরা, প্রকৃতি প্রেমী দেশে,
সবাই যে আজ নির্দয়ে, নিরলসে, সবুজেরে দিচ্ছে নির্বাসে।”
বাংলার বুকের সবুজের মায়ায়, কাদঁছে কুমারীর বুক,
ভয়ে অশ্রুজল ছাড়িছেনা সে, লেগে আছে, যেন চিনে জোঁক!
সবুজের মায়ায়, কুমারীর বেদনায়, আমারও অশ্রু গড়িয়েছে কুমারী-রূপী ঘাসে!